পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম সম্পর্কে জানুন বিস্তারিত

প্রিয় পাঠক, আপনি কি পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম সম্পর্কে জানতে চাইছেন? আপনি কি এই সমস্যায় আক্রান্ত? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলে পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম এবং অন্ডকোষে চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম
পুরুষদের জন্য চুলকানি দূর করার ক্রিম এবং চিকিৎসার উপায় জানা অত্যন্ত জরুরী। এই আর্টিকেলে আমরা পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার বিভিন্ন ক্রিম এবং চিকিৎসার উপায় নিয়ে আলোচনা করব।

পেজ সূচিপত্রঃ পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম

ভূমিকা

পুরুষাঙ্গের চুলকানি একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এটি খুব অস্বস্তিকার পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। পুরুষাঙ্গে চুলকানি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন ফাংগাল ইনফেকশন, অতিরিক্ত ঘাম, অপরিষ্কার পোশাক পরিধান, এবং অন্যান্য চর্মরোগ। এই চুলকানি দূর করার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম পাওয়া যায়, যেগুলি বিশেষভাবে এই ধরনের চর্ম সমস্যার চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
এই ক্রিমগুলি সাধারণত এন্টিফাংগাল উপাদান সমৃদ্ধ হয়ে থাকে, যা চুলকানি এবং ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম

নিজের শরীরের কিছু অংশে চুলকানি অনেক পুরুষদের জন্য একটি অপ্রিয় ও অসুস্থতার সমস্যা। এই সমস্যা সামনে আসলে অনেকেই লজ্জায় ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে চান না এবং অন্যদের সামনে এই সমস্যার বিষয়ে আলোচনা করতে লজ্জা বোধ করে। ফলে সমস্যা আরো বাড়তে থাকে। যদি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিম বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু এসব ক্রিম ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। কেননা ভুল ক্রিম ব্যবহার করলে পুরুষাঙ্গের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পুরুষাঙ্গে চুলকানি হলে ব্যবহার করা যায় এরকম কিছু ভালো ক্রিমের নাম নিচে দেওয়া হলো।
  • Fungiderm Cream ( ফাঙ্গিডার্ম‌ ক্রিম )
  • Lotrimin cream ( লোট্রিড্রেম ক্রিম )
  • Afun cream ( এফান ক্রিম )
  • Lamisil cream ( লামিসিল ক্রিম )
ইতিমধ্যে আমরা পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার কিছু ক্রিমের নাম উপরে উল্লেখ করেছি। এসব ক্রিম ব্যবহার করে আপনারা খুব সহজেই এই চুলকানি নামক ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তবে এই ক্রিমগুলো অবশ্যই বিশেষ সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত। এবং এগুলো ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

অন্ডকোষে চুলকানি দূর করার উপায়

অন্ডকোষ হচ্ছে একজন পুরুষের প্রজনন তন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বেশিরভাগ পুরুষই অন্ডকোষের চুলকানি জনিত রোগে ভুগে থাকে। মূলত ফাংগাল সংক্রমনের কারণে অন্ডকোষে চুলকানি হয়ে থাকে। এজন্য আপনাকে অন্ডকোষ সব সময় পরিষ্কার ও শুকনা রাখতে হবে। অন্ডকোষে যেকোন সাবান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

অন্ডকোষে চুলকানি হলে আপনি অন্ডকোষ চুলকাতে পারবেন না। কেননা চুলকালে অন্ডকোষে চুলকানি আরও বৃদ্ধি পায়। এজন্য অন্ডকোষে চুলকানি হলে অন্ডকোষে হাত লাগানো থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়াও ঘুমানোর আগে এবং গোসল করার আগে নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।

এতে যদি আপনার অবস্থার পরিবর্তন না হয় তাহলে ফাংগিসন ক্রিম ( Fungison cream ) কিনে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনি Conazole cream ব্যবহার করতে পারেন। আক্রান্ত জায়গা সব সময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন। বাতাস প্রবেশ করতে পারে এই ধরনের ঢিলেঢালা পোশাক ব্যবহার করুন। এরপরেও যদি ভালো না হয় তাহলে অবশ্যই একজন ভালো চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

গোপনাঙ্গের চুলকানি দূর করার ওষুধের নাম

কমবেশি সবাই গোপনাঙ্গে চুলকানি দ্বারা আক্রান্ত হয়। এই রোগ থেকে মুক্তির জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়। তবে সবকিছুর আগে আমাদের জানা উচিত কি কারনে গোপনাঙ্গে চুলকানি হয়ে থাকে। এটি সাধারণত চারটি কারণে হয়ে থাকে। নিচে কারণগুলো উল্লেখ করা হলো।
  • ছত্রাকের কারণে
  • ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রমনের কারণে
  • ট্রাইকোমোনিয়াসিস প্যারাসাইটের আক্রমণের কারণে
  • যৌনাঙ্গে যদি উকুন খোশপাচড়া ও মাইক্রপ্লাজমা জেনেটালিয়াম এর সংক্রমণের কারণে
এখন আমরা গোপনাঙ্গের চুলকানি দূরীকরণে ব্যবহৃত কিছু ওষুধ নিয়ে কথা বলব।

Afun 1% Cream

ব্যবহারের নিয়মঃ এটি ব্যবহারের পূর্বে আক্রান্ত স্থানটি গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ভালোভাবে পরিষ্কার হবার পরে এই ক্রিমটি আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে। প্রতিদিন এই ক্রিম .২থেকে ৩ বার ব্যবহার করতে হবে। মহিলাদের জন্য এই ক্রিমটি সবথেকে বেশি কার্যকরী। এটির তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই তবে কারো কারো ক্ষেত্রে হালকা জ্বালাপোড়া হতে পারে।

Fungidal HC Cream 2%
ব্যবহারের নিয়মঃ একইভাবে এই ক্রিমটি ব্যবহারের পূর্বেও আক্রান্ত স্থানটি ভালোভাবে গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এই ক্রিমটি দিনে ২থেকে ৩ বার ব্যবহার করতে হবে। এটি ১০ থেকে ১৪ দিন ব্যবহার করলে চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই ক্রিমটি পুরুষদের ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি কার্যকরী। এটি শরীরের যেকোনো স্থানে ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও রয়েছে
  • Betameson CL Cream
  • Bilanex 20mg Tablet

পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়

পুরুষাঙ্গে চুলকানি দূর করার বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া উপায় রয়েছে। সঠিক উপায় অবলম্বন করলে চুলকানি থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। আপনি চাইলে প্রাকৃতিকভাবেও পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করতে পারেন। নিচে কিছু ঘরোয়া উপায় আলোচনা করা হলো।

নারিকেল তেলের ব্যবহারঃ আপনি নারিকেল তেল ব্যবহার করে পুরুষাঙ্গে চুলকানি কমাতে পারেন। নারিকেল তেল ছত্রাকের সংক্রমণে অনেক উপকারী।

বেকিংসোডা দিয়ে গোসলঃ পুরুষাঙ্গে ছত্রাক থাকলে বেকিংসোডা ব্যবহার করে এটি দূর করা যায়। গোসল করার সময় গোসলের পানিতে বেকিংসোডা মিশিয়ে গোসল করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

রসুনঃ বিভিন্ন প্রকার ব্যাকটেরিয়া হতে বাঁচতে রসুন ভীষণ কার্যকর। রসুনের পেস্ট বানিয়ে এটি আক্রান্ত স্থানে লাগালে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

প্রোবায়োটিক খাবারঃ প্রোবায়োটিক খাবার বলতে আঁশযুক্ত খাবার কে বোঝায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে দই, কিসমিস, আচার, দোসা, কুসুম্বা ইত্যাদি। এই খাবারগুলো আপনার চুলকানি দূর করতে অনেক সাহায্য করবে।

যোনিতে চুলকানি দূর করার উপায়

মহিলাদের কৈশোর আসার পর থেকে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরিবর্তন হয়ে থাকে। পরবর্তীতে যৌবনেও মহিলাদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা লেগে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম হলো মুত্রাশয়ের সংক্রমণ। এছাড়াও যৌনাঙ্গের চারপাশে ব্যাপক চুলকানির কারণে অনেকেই সমস্যায় ভুগে থাকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য কিছু উপায় আলোচনা করা হলো।
  • সংক্রমনের জালা থেকে রক্ষা পেতে আপেলের ভিনেগার, লেবুর রস ও মধু একত্রে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এই মিশ্রণ আপনাকে সংক্রমনের হাত থেকে রক্ষা করবে।
  • যদি ঘন ঘন মূত্রাশয়ে সংক্রমণ হতে থাকে এবং যৌনাঙ্গের চারপাশে যদি চুলকানি হতে থাকে তাহলে আমলকির রস পান করতে পারেন। প্রতিদিন অন্তত .৪থেকে ৫ বার আমলকির রস পান করতে পারেন।
  • ক্রেনবেরি জুসও যৌনাঙ্গের সমস্যার জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি শরীরে ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
  • হট ওয়াটার ব্যাগে গরম রেখে সেটা দিয়ে সেঁক দিলে মূত্রাশয়ে জ্বালা যন্ত্রণা কমে যায়।
এছাড়া মূত্রাশয়ের সংক্রমণ দূর করতে বেশি বেশি পানি পান করার কোন তুলনা হয় না। যাদের পানি পান করার অভ্যাস কম তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলো বেশি হয়ে থাকে। তাই এ সমস্যায় যাতে পড়তে না হয় এর জন্য বেশি বেশি পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

শেষ কথাঃ পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম

আজকের আর্টিকেলে পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম এবং পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি, আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করতে সহায়তা করবে।
আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
আর্টিকেলটি যদি আপনাদের উপকার করে তাহলে এটি বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে দিন। আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Dev Serp এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url